বাংলা ভয়েস ডেস্ক:
কুয়ালালামপুরে যেতে উড়োজাহাজের টিকিটের দাম ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। গত মাসেও মালয়েশিয়াগামী একমুখী টিকিটের দাম ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু চলতি মাসে তা ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় উঠেছে।
ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সিজ অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ তিনি বলেন, শেষ সময়ে মালয়েশিয়ায় কী পরিমাণ কর্মী যাবেন, তা আগে থেকে জানানো হলে এয়ারলাইনসগুলো প্রস্তুতি নিতে পারত। এখন চাহিদা বাড়ায় বেশি দামে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা।
শুক্রবার (৩১ মে) সময়সীমার কারণে হঠাৎ চাহিদা বেড়েছে মালয়েশিয়াগামী উড়োজাহাজের টিকিটের। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দেশটিতে যান যথাক্রমে ৬ হাজার ১১৫ এবং ৬ হাজার ৩৮৩ জন নতুন কর্মী। সেখানে এপ্রিলেই গেছেন নতুন ১৭ হাজার ৮৭৭ জন। চলতি মাসে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে।
অবশ্য চাহিদা বাড়ায় ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে উড়োজাহাজে আসন সক্ষমতাও বাড়িয়েছে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি এরই মধ্যে চারটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসও এ রুটে বড় উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসন সক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে। অতিরিক্ত দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বাজেট ক্যারিয়ার এয়ার এশিয়াও। এরপরও ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া যাওয়ার টিকিট-সংকট তৈরি হয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ঘুরে একটা-দুটি টিকিট পেলেও দাম চাওয়া হচ্ছে লাখ টাকার বেশি।
গতকাল মতিঝিলের বেশ কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সিতে গিয়ে দেখা যায়, মালয়েশিয়াগামী কোনো উড়োজাহাজের আসন ফাঁকা নেই। সব এয়ারলাইনসেরই ৩১ মে পর্যন্ত সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন সময়সীমা ঘোষণার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়। শ্রমবাজার চালু রাখতে বৈঠকে বসারও প্রস্তাব দেয় মন্ত্রণালয়। তবে তাতে সাড়া মেলেনি। ফলে ভিসা পাওয়া কর্মীদের আজ শুক্রবারের মধ্যেই মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাসনা মোহাম্মদ হাসিম ২৯ মে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে চাকরি নিশ্চিত করে চাহিদার ভিত্তিতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারও খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারেন। অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট ভাঙতে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় কাজ করছে মালয়েশিয়ায়।