বাংলা ভয়েস ডেস্ক:
প্রতারণার অভিযোগে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে গুলশানে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই অভিযোগকারীকে সঙ্গে নিয়ে লাইভে আসলেন দেশের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।
গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে তিনি একটি ক্যাফে থেকে অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট লুবনাকে নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৮ মিনিটের লাইভে তনি প্রথমেই কিছু সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে তুলে না ধরে মনগড়া আর রসালো শিরোনামে আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে কিছু সাংবাদিক ভুয়া নিউজ তৈরি করে।
এরপর তনি বলেন, আমি লাইভে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট লুবনা আপাকে নিয়ে এসেছি। তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আমার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন। কিন্তু কেন করেন তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা না দিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম ভুল তথ্য ছড়িয়ে আমার ব্যবসার পরিচিতি ও সুনাম নষ্ট করেছে।
লাইভে তনি দাবি করেন, অভিযোগকারী লুবনা আমাদের ব্যবসার ফেসবুক পেজে প্রথমে অভিযোগের কথা জানালেও আমার অফিসের স্টাফ রিপ্লাই দেননি। বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় আর অভিযোগের রিপ্লাই না আসায় লুবনা আপা ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আমি বলব, আপনারা জানেন না, একটা ব্যবসায়িক পেজে ক্রেতাদের রিপ্লাই দিতে কতজন লোক কাজ করে। আমার এ ব্যবসায় ৫০ জন নিযুক্ত আছেন। যাদের একজন ডিউটিতে থাকা অবস্থায় আপার অভিযোগ গুরুত্ব দেননি। আর আমিও মালিক হিসেবে বিষয়টি জানি না।
এ সময় তনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আপনার নিয়মিত যারা আমার ভিডিও দেখেন তারা জানেন, আমি ক্রেতার কোনো অভিযোগ পেলেই লাইভে এসে বিষয়টির সমাধান করি। আমার শোরুমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না রাখায় তা আরও সত্য বলে মনে করেছেন অনেকে। এ ঘটনা থেকে শিখলাম, শোরুমে সব সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখতে হবে। একই সঙ্গে লুবনা আপাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সরি বলেছি স্টাফদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য। ভবিষ্যতে কখনও এমন ভুল করা হবে না।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে বেশ কয়েকটি শোরুম আছে তনির। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় তনির ‘সানভিস বাই তনি’র শোরুমে বিদেশি পণ্যের নামে দেশীয় পণ্য বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। অভিযানে পণ্য আমদানির কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে শোরুমটি বন্ধ করে দেন তারা।