বাংলা ভয়েস ডেস্ক:

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাশের হার ৮৩.০৪%। ২০২৩ সালে পাশের হার ছিল ৮০.৩৯%। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার বেড়েছে।

এ বছর সারা দেশে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২,৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই এবার পাশ করেনি। এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯,৮৬১টি।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন পাশের হার মানবিক বিভাগে। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৩.৬৩%, মানবিকে পাশের হার ৭৬.৬৬% আর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে পাশের হার ৮৩.২৯%।

এ বছর সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮২,১২৯ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ১ লাখ ৮৩, ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এ বছর ১, ৪৪৯ জন কম জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এ বছর পাশের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা বেশি এগিয়ে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ছাত্রীদের পাশের হার ৮৪.৪৭%, আর ছাত্রদের পাশের হার ৮১.৫৭%।
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও ছাত্রদের তুলনায় এগিয়ে ছাত্রীরা। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন। ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন।

এ বছর এসএসসিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যাও বেশি ছিল। পরীক্ষা অংশ নেওয়া ছাত্র ৯ লাখ ৯৯,৩৬৪ জন, আর ছাত্রী ১০ লাখ ৩৮,৭৮৬ জন।
এদিকে, বোর্ড অনুযায়ী ফলাফলে এ বছর সবচেয়ে এগিয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাশের হার ৯২.৩২%। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম পাশ করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে। এই বোর্ডে পাশের হার ৭৩. ৩৫%।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৮৩.৯২%, বরিশালে ৮৯.১৩%, চট্টগ্রামে ৮২.৮%, কুমিল্লায় ৭৯.২৩%, দিনাজপুরে ৭৮.৪%, রাজশাহীতে ৮৯.২৬%, সিলেটে ৭৩. ৩৫%, ময়মনসিংহ ৮৪.৯৭% ও যশোরে ৯২.৩২%। মাদ্রাসা বোর্ডে পাশের হার ৭৯. ৬৬% এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮১.৩১%।
রবিবার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফল প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলে বেলা সাড়ে ১১টার পর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হয়।

এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাচ্ছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

Exit mobile version