মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ কক্সবাজার
টেকনাফর হ্নীলা আলী খালীর গহিন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বিভিন্ন খুন মামলার আসামি ডাকতেন লিডার কুখ্যাত ডাকাত রফিক গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।
জানাযায়, ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খবর পাওয়া যায়, হ্নীলা আলীখালীর গহিন পাহাড়ে এক ব্যাক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এখবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের এস আই মোঃ ফায়সালের নেতৃত্বে একদল পুলিশের চৌকশ আভিযানিক দল ও আলীখালীস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৫ এ দায়িত্বরত এপি বিএন পুলিশ দলকে সাথে নিয়ে গহিন পাহাড়ের ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সন্ধান পায়।
পরে উপস্থিত জনতা লাশ টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও শীর্ষ ডাকাত রফিক (৪০) বলে সনাক্ত করে।
রফিক ডাকাতের নিহতের ঘটনায় এলাকায় তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগী লোক জন উল্লাস প্রকাশ করে এবং তাকে একনজর দেখার জন্য আলীখালীস্থ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পে উৎসুখ্য হাজার হাজার জনতা ভীড় জমায়।
উলেখ্য যে গত আগষ্ট ২০২৩ ইং আলী খালী মৃত, মোঃ জালালের ছেলে রাখাল জাফর আলম (১৮) কে পাহাড়ে গরু নিয়ে যাওয়ার পথে গুলি করে পেটের নাড়ীভুঁড়ি বের করে ফেলে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ দিন পর মারা যায়। কুখ্যাত ডাকাত রফিক বিশাল গ্যাংসৃষ্টি করে পাহাড়ী জনপদে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি, অপহরণ, খুন, চিন্তাই সহ নানা অমানবিক ঘটনার নেতৃত্ব দিত।
তবে রফিক ডাকাতের স্ত্রী শামসুন নাহারের দাবী আমার স্বামী রফিক সহ আমরা পরিবারের সকলে ৬ মাস পূর্ব থেকে কক্সবাজার টুয়াংগ্যাকাটা এলাকায় বসবাস করে আসছি গত ১৩ জানুয়ারী ( শুক্রবার) উলুচামরী কোনার পাড়া এলাকার আনোয়ার প্রকাশ (লেড়াইয়া), আলী খালী এলাকার হারুন ও উলুচামররী এলাকার (লাশ জালাল) সহ আরো অনেকে আমার জামাই কে মোবাইলে ডেকে এনে ইয়াবা ব্যাবসা করার কথাবলে মেরে ফেলে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওসমান গণি বলেন বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি, আলীখালী গহিন পাহাড়ে একজন ডাকাতের লাশ পড়ে থাকার কথা আমরা তাৎক্ষনিক পুলিশ টীম পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি। তবে এখনো কোন অভিযোগ করেনি, যদি কেউ নির্দিষ্ট অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা করা হব।