মোঃ সোহাগ হোসেন, বেনাপোল সংবাদদাতা :
যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ সমাধানের নামে এক অসহায় নারীর কাছ থেকে নগত টাকা ও গরুর মাংস ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাবেক এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এত দিন ঘুষ হিসেবে টাকা নেওয়ার কথা জানা থাকলেও এবার শোনা গেল গরুর মাংসের কথা। তাও আবার একজন বর্তমান ইউপি সদস্য ও সাবেক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১০ মাস আগে শার্শা উপজেলার ইছাপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের তহমিনা খাতুনেন সাথে একই উপজেলার ১নং কলোনি গ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের ৩ মাস সংসার করার পরে বনিবনা না হওয়ার তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিছু দিন পরে তহমিনা খাতুনের সাবেক স্বামী মিজানুর রহমান তাকে নেওয়ার জন্য মেম্বার আব্দুল মালেক ও সাবেক পল্লী চিকিৎসক আলীকে দিয়ে আবাও বিয়ের প্রস্তাব দিলে তহমিনা খাতুন রাজি হয়। ওই সুবাদে পল্লী চিকিৎসক আলী ও ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তহমিনা খাতুনের কাছ থেকে নগদ টাকা ও গরুর মাংস দাবী করেন। পরে ৭ কেজি গরুর মাংস, নগত ১৫০০ টাকা, ও বিকাশ নাম্বার মাধ্যমে ২৫০০ টাকা দেয়।
পরবর্তীতে তহমিনা খাতুন তাদের বিবাহ সম্পন্ন করার জন্য ইউপি সদস্য আব্দল মালেক ও পল্লী চিকিৎসক আলীর সাথে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন তালবাহনা ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মোবাইল বন্ধ করে রাখার কথাও অভিযোগে উল্লেখ করেন।
অভিযুক্ত সাবেক পল্লী চিকিৎসক আলী’র মুঠোফোন জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমরা টাকা ও মাংস নিয়েছি, তাতে সমস্যা কি? ঐ মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে সালিশ বৈঠাকের মাধ্যমে তার স্বামীর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে আবার স্বামীর ঘরে যাওয়ার জন্য আমার ও মালেক মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা খরচ বাবদ ৭ কেজি গরুর মাংস ও টাকা নিয়েছি, যা দিয়ে খেচুড়ি রান্না করে খেয়েছি। এমন ভাবে টাকা কেন নিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে জোড়া লাগাবো তাই।
বাগআঁচড়া ইউনিয়নেন ১ নাম্বার কলোনী গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, তবে ঐ মহিলার কাছ থেকে পল্লী চিকিৎসক আলী মাংস ও টাকা নিয়েছে সেটা আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। তাছাড়া আমার সাথে আর কোন কথা হয়নি।
এ বিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হবে।