দলীয় মনোনয়ন না পেলেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি জানান, আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন এবং এর মধ্যেই এলাকায় পৌঁছাবেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন করব।” দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দল দলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আমার সিদ্ধান্ত নেব। আমি নির্বাচন করব।”
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের দুই ইউনিয়ন) আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এই আসনে বিএনপি তাকে মনোনয়ন দেয়নি। জোটগত সমঝোতার অংশ হিসেবে বিএনপি আসনটি ছেড়ে দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে চারটি আসন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে প্রার্থী করা হয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-2 আসনে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছিল। গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও ওই তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম দেয়নি দলটি।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯ জন এবং বিজয়নগর উপজেলার দুই ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৪০ জন। বিজয়নগরের দুটি ইউনিয়ন আসনভুক্ত করার ক্ষেত্রেও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
গত ২০ ডিসেম্বর সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের খেলার মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি নির্বাচনে থাকবেন।
তিনি বলেন, “আমি মনোনয়ন কিনব না। এই মনোনয়ন আমার এলাকার ভোটারদের। তারা যদি মনে করেন, তবেই সেটা আমার হবে।”
জোটের স্বার্থে বিএনপি আসন ছেড়ে দেওয়াকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, “বিএনপি বড় দল। জোটের স্বার্থ দেখতে হয়। জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে জোট থাকায় দল বাধ্য হয়েই আসন দিয়েছে।”


















