বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধীসৌধে আরও একটি ইতিহাস যুক্ত হতে যাচ্ছে। দেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের চিরনিদ্রার এই স্থানে অষ্টমবারের মতো দাফন করা হচ্ছে শহীদ শরীফ ওসমান হাদীকে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীতে চিহ্নিত এক শুটারের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদী। দীর্ঘ ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শহীদ হন। পরিবারের ইচ্ছা ও রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় তাঁকে জাতীয় কবির সমাধীসৌধে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম সমাধীসৌধে যাঁরা শায়িত আছেন, তাঁরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে জাতির ইতিহাসে অনন্য অবদান রেখে গেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
১. কাজী নজরুল ইসলাম — বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
২. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন — প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথিকৃৎ।
৩. পটুয়া কামরুল হাসান — বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার।
৪. অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
৫. অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী।
৬. ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা — বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বুদ্ধিজীবী, শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত।
৭. শিল্পগুরু সফিউদ্দিন আহমেদ — আধুনিক ছাপচিত্রের জনক হিসেবে খ্যাত প্রখ্যাত শিল্পী।
৮. শরীফ ওসমান হাদী — সহিংসতার শিকার হয়ে শহীদ হওয়া এক সাহসী মানুষ।
শহীদ হাদির দাফনের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলাম সমাধীসৌধে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি আত্মত্যাগের নাম। পরিবার, শুভানুধ্যায়ী ও সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন—এই দাফন শুধু একজন মানুষের শেষ বিদায় নয়, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর এক নীরব কিন্তু শক্তিশালী বার্তা।


















