ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়না এক টুইটে দাবি করেছেন, ওসমান হাদির পর পরবর্তী ‘টার্গেট’ হতে পারেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
প্রায় ৩০টি বইয়ের লেখক ও পরিচিত সিকিউরিটি এনালিস্ট হিসেবে পরিচিত অজয় কে রায়নার ওই পোস্টে শুধু নাম উল্লেখই নয়, বরং কোথায় গুলি করা উচিত— এমন মন্তব্যও করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টুইটে তিনি লেখেন, ‘গুলি করতে হবে ঘাড়ে, মাথায় নয়। প্রথমে তাকে নিশ্চুপ করাতে হবে।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
পোস্টটি প্রকাশের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব একে সরাসরি হত্যার হুমকি হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে এই বক্তব্যের যোগসূত্র থাকতে পারে— এমন সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে এ বিষয়ে কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়না পরবর্তীতে আর কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এক গণমাধ্যমকে তিনি বিষয়টিকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি পোস্টকে ঘিরে অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, ভারতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার পরামর্শ দেন, নচেৎ উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, বিতর্কিত এই টুইট ঘিরে দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।


















