গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করতে পতিত আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট করেছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রথম শিকার হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আহত ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, “নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে পতিত আওয়ামী লীগ ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট করেছে। যার মধ্যে প্রথম শিকার হলেন শরিফ ওসমান হাদি। এ ঘটনার যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।”
এদিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনাটি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে।


















