ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে শরিক দলের জন্য নির্ধারিত আসনগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করায় জোটের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শরিকদের অভিযোগ— বিএনপি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং তাদের অবদান অস্বীকার করছে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, “বিএনপি আজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের প্রার্থিতা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এটি আমাদের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।”
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা বলেন, “তারেক রহমান আমাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন— যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে। কিন্তু কোনো আলোচনা ছাড়াই প্রার্থী ঘোষণা করা সেই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।”
অন্যদিকে বিএনপির নীতি-নির্ধারণী নেতারা বলছেন— শরিকদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই শরিকদের জন্য নির্ধারিত আসনগুলোও ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, “শরিকদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। অনেককেই কনফার্মও করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি ঠিকই, তবে কে কোথায় মনোনয়ন পাচ্ছে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই তো আর পাবে না। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি কোন কোন আসন শরিকদের জন্য রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে শরিক দলের প্রার্থীদের স্থানীয় জনপ্রিয়তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। “এখন প্রতীক বিষয়েও সমস্যা আছে। ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে। ১৮ বছর পর বড় নির্বাচন— এটিকে হেলায় নেওয়ার সুযোগ নেই।”
এদিকে শরিকদের অনেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন— প্রত্যাশিত আসন না পেলে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা হবে।
বিএনপির মতে, সংশোধিত আরপিও-র কারণে শরিকদের আসন বণ্টনে এবার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। জোট বিস্তৃত করতে গিয়ে জেতার সম্ভাবনাময় আসন হারাতে চায় না দলটি।


















