রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল ঘোড়াশাল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে।
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টা ৩৮ থেকে ১০টা ৩৯ মিনিটের ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল নরসিংদী জেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। তবে একই মাত্রার আগের ভূমিকম্পগুলোর তুলনায় এবার কম্পনের তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভূমিকম্পের প্রভাবে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও আমেনা খাতুন হলের দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। হঠাৎ দেয়ালে ফাটল ধরায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন,
“হল ভবন নির্মাণে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। নতুন হলে ওঠা হাজারো শিক্ষার্থী এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ভবনগুলোর জরুরি অডিট করা প্রয়োজন।”
শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রিয়াদ জানান,“২০২৩ সালের শুরুতে হলে উঠি। তখন ৬ষ্ঠ তলায় সামান্য ফাটল দেখা যেত। কিন্তু আজকের ভূমিকম্পের পর সেই ফাটল বড় হয়েছে, এমনকি বিমেও স্পষ্ট ফাটল রয়েছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
তিনি আরও বলেন,“শেখ রাসেল হলের অবকাঠামো আসলেই নিরাপদ কিনা, তা পুনরায় পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা, হল ভবনগুলোর নিরাপত্তা মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।


















