আগের দফায় শুধু ‘জুলাই শহীদদের’ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সহায়তার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও সংশোধিত দফায় আহতদের জন্যও মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগের দফায় বলা হয়েছিল, “গণঅভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও শহীদ পরিবারদের সহায়তা নিশ্চিত করব।”
নতুন সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, শহীদ পরিবার ও জুলাই আহত বীর যোদ্ধাদের মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।”
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “আজ আপনাদের এভাবে দেখা করতে হচ্ছে, সেটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ও দুঃখজনক; এর চেয়ে বড় পরিস্থিতি আমরা কল্পনাও করতে পারি না।”
এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জরুরি সংশোধনের কথা জানানো হয়। অধ্যাপক আলী রীয়াজ আগে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর চূড়ান্ত খসড়া স্বাক্ষরের পর আর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।


















