সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের খবরে সিরাজগঞ্জে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে দলের প্যাডে লেখা বলে দাবি করা, তবে সিগনেচারবিহীন একটি তালিকা ভাইরাল হয়। এতে সিরাজগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনসহ কয়েকটি জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তালিকায় দেখা যায়—
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে কনকচাপা,
সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু,
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে রাহিদ মান্নান লেলিন,
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এম আকবর আলী,
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আমিরুল ইসলাম খান আলিম এবং
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে ড. এম এ মুহিতের নাম রয়েছে।
তথাকথিত ওই প্যাডটি প্রথমে কেউ একজন ফেসবুকে পোস্ট করার পর অল্প সময়েই তা ভাইরাল হয়। জেলার বহু নেতাকর্মী তালিকাটি শেয়ার করে অভিনন্দন জানাতে থাকেন, আবার কেউ কেউ একে ভুয়া বলে দাবি করেন। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়।
উল্লাপাড়ার বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বাবলু নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, “ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।” তাঁর দাবি, কিছু বহিষ্কৃত নেতা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
অন্যদিকে, কয়েকজন ব্যবহারকারী তালিকার নিচে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে অভিনন্দন জানান, যা নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে মন্তব্য করছেন—তালিকাটি গুজব না সত্য, সে বিষয়ে দ্রুত দলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, “আমিও তালিকাটি ফেসবুকে দেখেছি। তবে এটি সত্য না মিথ্যা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।”
ভাইরাল হওয়া এই তথাকথিত মনোনয়ন তালিকাকে ঘিরে এখনো জেলাজুড়ে চলছে নানা জল্পনা ও বিভ্রান্তি।