দলীয় প্রতীক বেছে নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠির জবাবে আবারও ‘শাপলা’ প্রতীক দাবি করে সাতটি নমুনা চিত্রসহ নতুন চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইমেইলের মাধ্যমে ইসির সিনিয়র সচিব বরাবর দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাদের স্বাক্ষরিত চিঠিটি পাঠানো হয়।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর ইসির পাঠানো চিঠির জবাবে এনসিপি জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশনের নতুন প্রতীক তালিকা তৈরির সময় থেকেই তারা ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের আবেদন করে আসছে। দলটির দাবি, ইসির একটি কমিটি ১৫০টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করে যে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছিল, তাতে ‘শাপলা’ প্রতীক থাকার বিষয়ে ৪ জুন এনসিপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের এক কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছিলেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এনসিপি ২২ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের সময় ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের অনুরোধ জানায়। পরে ৩ আগস্ট এবং ২৪ সেপ্টেম্বর দলটি আরও দুটি চিঠি পাঠিয়ে শাপলা, সাদা শাপলা ও লাল শাপলা প্রতীক সংরক্ষণের অনুরোধ করে। প্রতীক দৃশ্যমান রাখতে দলটি ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণেও (ডিস্টর্টেড ভার্সন) শাপলা প্রতীক গ্রহণে সম্মত বলে জানিয়েছে। সর্বশেষ চিঠিতে সাতটি নতুন নমুনা চিত্র যুক্ত করা হয়েছে।
এনসিপি জানিয়েছে, শাপলার বিকল্প কোনো প্রতীক গ্রহণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, শাপলা প্রতীকটি দলীয় কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের গভীর সংযোগ স্থাপন করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের ১০১ জন আইনজীবী লিখিতভাবে মত দিয়েছেন যে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দে কোনো আইনি বাধা নেই। এমনকি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানও এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়াটা বড় কোনো আইনি জটিলতা নয়—এটা দেওয়া যেতেই পারে।”
এছাড়া নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এনসিপির পক্ষে শাপলা প্রতীক বরাদ্দে তার ইতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করেছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
দলটির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করছে এবং শাপলা প্রতীক না দিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এনসিপির দাবি, কমিশনের এ ধরনের পদক্ষেপ “স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে” এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে বাধা দিচ্ছে।