যশোরের নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও মামলা বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ট্রলি, ইজিবাইক, নছিমন, করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
প্রতিনিয়ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখার নাম করে এসব চাঁদাবাজি ও মামলা বানিজ্য করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের।
চালকদের অভিযোগ, হাইওয়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ চুক্তি রয়েছে। তবে’ যেসব গাড়ি চুক্তির আওতায় নেই কেবলমাত্র সেই সব গাড়িগুলো আটক করে মামলা দেওয়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
এ সড়কে চলাচলকারী একাধিক চালকরা জানান, বেনাপোল- যশোর সড়ক ও যশোর- সাতক্ষীরা সড়কের বেনাপোল কাগজপুকুর বাজার, শার্শার কামার বাড়ির মোড়, নাভারণ বাজার, উলাশীর বাজার, হাড়িখালীর মোড়, জামতলা মবিল ফ্যাক্টরির সামনে, বেলতলা বাজারসহ একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ। যানজট নিরসন, মহাসড়কে ডাকাতি ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশের নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকলেও দিনের অধিকাংশ সময় তারা ব্যস্ত থাকে চাঁদাবাজি ও মামলা বানিজ্যে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিন যশোর- সাতক্ষীরা সড়কের বাগআঁচড়া (বাগুড়ী) বেলতলা বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পোশাক পরা অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম মূল সড়কের ওপর অবস্থান করছে। এসময় ৪ টি ইজিবাইক, ৮/১০ টি মোটরসাইকেল, ২ ট্রলি, ও ২ টি ছোট ট্রাক জব্দ করে কনস্টেবলের মাধ্যমে চাঁদা নিচ্ছে।
উজ্জল নামে এক ট্রাক চালক বলেন, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চা-নাস্তা খাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবি করে হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়।
সবুজ নামে একজন মোটরসাইকেল চালক জানান, তার গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভারি লাইসেন্স, হেলমেট সব কিছু থাকার পরও ছাব্বিশ টাকার মামলা ছিয়েছে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ। তার অপরাধ গাড়িতে তিনজন ছিল, তার দাবী এভাবে মামলা না দিয়ে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা উচিত ছিল।
এবিষয়ে নাভারণ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান বলেন, হাইওয়ে পুলিশের কারো বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


















