বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক কৃষকের গরুর পায়ের রগ (লিগামেন্ট) কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় গরুর মালিককে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। বর্তমানে গরুটি মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছে, তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর কোনো কার্যকর চিকিৎসা নেই।
গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার প্রভাকারদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নিয়ামত খান।
আহত কৃষক মো. সেলিম সরদার (৫০) প্রভাকারদি গ্রামের আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে। তিনি জানান, সকালে তিনি গরুটি প্রতিবেশী মজিদ মোল্লার ছেলে ইমদাদ মোল্লার পাটক্ষেতের পাশের ফাঁকা জায়গায় বেঁধে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান। দুপুরে খবর পান, ইমদাদ মোল্লা তার গরুর পেছনের পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে গরুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে চিকিৎসকরা জানান, গরুর আঘাত গুরুতর এবং এ ধরনের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ নেই। কিছুদিনের মধ্যে পচন ধরে প্রাণিটি মারা যেতে পারে।
সেলিম সরদার বলেন, “গরুটিকে আহত করার খবর পেয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে ইমদাদ মোল্লা ও তার ছেলেরা আমাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয়। আমি দুই যন্ত্রণায় ছটফট করছি—একদিকে গরুর মৃত্যু, অন্যদিকে আমার হাতের ব্যথা। আমি থানায় অভিযোগ করবো।”
প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিকেল সনদে উল্লেখ রয়েছে, দেশি বকনা জাতের গরুটি ১ বছর ১১ মাস বয়সী। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এর পেছনের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এতে গরুটির শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গরুটি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে রগ কেটে গেলে সেটি জোড়া দেওয়ার মতো চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। ভবিষ্যতে ক্ষতস্থানে পচন ধরলে গরুটি মারা যাবে।”
অভিযুক্ত ইমদাদ মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা দাবি করেন, “গরু আমাদের পাটক্ষেতে ঢুকে পড়ায় আমার বাবা সেটিকে ধরে আনেন। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে, এতে আমরাও আহত হই। তবে গরুর রগ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, “ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


















