মতামত | শাহ আলম সরকার
ইনচার্জ, বাংলা ভয়েস
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমান দুর্ঘটনার পর হতাহতের সংখ্যা ও তালিকা নিয়ে দেশে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
আর আমি এখানে স্পষ্টভাবে প্রশ্ন তুলছি—এমন কী অজানা জটিলতা যে এখনো পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ, নিশ্চিত হতাহত তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি? সাধারণভাবে একটা বিষয় খুবই পরিষ্কার—প্রতিটি ক্লাসে কতজন শিক্ষার্থী ছিল, কে কোন রোল নম্বরে, কার নাম কী, কার অভিভাবক কে, ফোন নম্বর, ঠিকানা—এসব তথ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকা কথা।
আমরা যখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর কথা বলি, তখন এসব তথ্য পাওয়ার কথা সেকেন্ডের মধ্যেই।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে:
• কেন এই তালিকা তৈরিতে এত বিলম্ব?
• কেন অভিভাবকদের অজানা অনিশ্চয়তা অপেক্ষা করতে হচ্ছে?
• কেন কেউ কেউ ‘গুম’ বা ‘তথ্য গোপনের’ মতো আশঙ্কা করছেন?
আমি বলছি—এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের দিতেই হবে।
এই দুর্ঘটনার পর হতভম্ব পরিবারগুলোর প্রশ্ন খুবই সহজ:
আমার সন্তান কোথায়? সে বেঁচে আছে কি না? হাসপাতালে, না অন্য কোথাও?
আর এই সহজ প্রশ্নের জবাব দিতে যদি প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হয়, তাহলে গুজব, ভয় আর রাগ তো ছড়াবেই।
অনেকেই বলছেন, তালিকা তৈরিতে ধীরগতি, অস্পষ্টতা এবং দায় এড়ানোর মানসিকতা গুজব ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হলো—স্কুল কর্তৃপক্ষ তালিকা দিতে পারছে না, না দিতে চাইছে না?
একজন অভিভাবক খুব পরিষ্কার করে বলেছেন:
“আমার সন্তান কোন ক্লাসে পড়তো, কখন স্কুলে গেছে, তা তো আমি জানি। স্কুলও জানে। তাহলে এত ধোঁয়াশা কেন?”
বাংলা ভয়েস-এর পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই—
এমন দুর্ঘটনার পর সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল সত্য তথ্য আর মানবিক আচরণ।
আর তা যদি না থাকে, তাহলে শুধু গুজবই নয়, ক্ষোভও তৈরি হবে। কমিটি গঠনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সেই কমিটি কত দ্রুত কাজ করছে, কী তথ্য সংগ্রহ করছে, কীভাবে প্রকাশ করবে—সবই এখনো অন্ধকারে।
বাংলা ভয়েস-এর পক্ষ থেকে আমি দাবি জানাচ্ছি:
• সকল তথ্য দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।
• গুজবের সুযোগ যেন না থাকে, সেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
• অভিভাবক ও দেশবাসীর প্রশ্নের জবাব এখনই দিতে হবে।
সত্য লুকিয়ে নয়, সামনে এনে—মানবিক দায়িত্বই এখন সবচেয়ে বড় কর্তব্য।


















