বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যা ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা বৃহস্পতিবার রিমান্ডের আদেশ দেন।
শুক্রবার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য দেন।
বুধবার লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামের এই ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ দায়ের করেছে অস্ত্র মামলা। হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আর অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিনের দুই দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউশনের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, হত্যা মামলায় কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন ও এক থানার এসআই মো. মনির দুই আসামি যথাক্রমে মহিনের ১০ দিন ও রবিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন।
শুনানির পর মহিনের পাঁচ দিন এবং রবিনের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেইটের সামনে পিটিয়ে কুপিয়ে সোহাগকে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
সেদিন নাম প্রকাশ না করে এক ব্যবসায়ী বিডিনিউজ বলেছেন, “মিটফোর্ড এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ‘অবৈধ বেচাকেনার’ বাজার রয়েছে। সেটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোহাগের সঙ্গে আরেক ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্ব চলছিল।”