বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমরা কারও দোসর ছিলাম না, আমরা নিজস্ব রাজনীতি করেছি। কিছু কিছু সময়ে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছু বাধ্য করা হয়েছে। যেটা ফ্যাসিবাদ বলা হয়, সেই ফ্যাসিবাদের শিকার সবাই যেমন হয়েছে আমরাও হয়েছি।
বিগত নির্বাচন সম্পর্কে জিএম কাদের বলেন, আমার কোন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে যেতে চাইনি। সেসব নির্বাচনে আমাদের যেতে বাধ্য করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের মিছিল-মিটিং করতে দেয়া হচ্ছে না। বাধার কারণে আমরা কাউন্সিল করতে পারছি না। আমাদের নেতাকর্মীদের বিনা কারণে জেলে নিচ্ছে। বিনা বিচার ও চার্জশীটে নেতাকর্মীরা মাসের পর মাস জেল খাটছে।
রংপুর অফিস জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকার সত্যিকার অর্থে সঠিক অবস্থান নিতে ব্যর্থ হলে দেশের জনগণকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আহ্বান যারা দেশে নিগৃহীত, অত্যাচারিত, আইনকে অন্যায়ভাবে যাদের উপর ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই সমস্ত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে রংপুর নগরীর সেনপাড়াস্থ স্কাই ভিউ বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সরকার পৃথকীকরণ নীতি পালন করছে। দেশের বৃহৎ অংশকে তারা সমস্ত রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কোনঠাসা করছে। এজন্য কালা কানুন ও আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সমস্ত আন্দোলনে জনগণের পক্ষে ছিল। বিডিআর হত্যাকান্ডের সময় জাতীয় পার্টি জনগণের পক্ষে ছিল। এই হত্যাকান্ডে আমার ভাগ্নে মারা গেছে।
শাপলা চত্ত্বরের আন্দোলন আমরা সরাসরি হেফাজতকে সমর্থন দিয়েছিলাম। হেফাজতের মানুষকে পানি খাইয়েছি। ছাত্র আন্দোলনে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছিল।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরে একটি দল নির্বাচন চাচ্ছে। আমরা চাচ্ছি সেটি তারা স্বীকার করছে না। তারা জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকার করছে না। অথচ আমাদের দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত।
সারাদেশে আমাদের কার্যক্রম রয়েছে। অথচ যে দলটি নিবন্ধন পায়নি, তারা সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সরকার নিজস্ব দল তৈরী করে নির্বাচন দিলে এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না। নব্বইয়ের পর আমরা বারংবার বলেছি এ কথা। এ সরকার নির্বাচন দিতে পারবে না, তাদের ইচ্ছা ও ক্ষমতা নেই। জিএম কাদের বলেন, দেশের বেকার সমস্যা বাড়ছে। দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ৮-৯ মাসে দেশের অবস্থা আরও খারাপের দিকে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে সাধারন মানুষ চলাফেরা করতে পারছে না। এমন চলতে থাকলে দেশে কেউ বিনিয়োগ করতে আসবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, আজমল হোসেন লেবু, জেলা যুবসংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিমসহ অন্যরা।