বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
ছাত্র-জানতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের তোষামোদকারী শিল্পী ও কলা-কুশলীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী জানান, এ মামলায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে উসকানিদাতা অভিনয় শিল্পী, সংগীত শিল্পী, পরিচালক ও কলা-কুশলীদের বিরুদ্ধে হত্যামামলার অভিযোগ আনা হবে।
এতে শতাধিক শিল্পী অভিযুক্ত হবেন।তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন- অভিনয় শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, রাইসুল ইসলাম আসাদ, জাহিদ হাসান, শাকিল খান, রোকেয়া প্রাচী, নিপুণ আক্তার, শমী কায়সার, শম্পা রেজা, অপু বিশ্বাস, তানভীন সুইটি, মাহফুজ আহমেদ, অঞ্জনা, তারিন, শামীমা তুষ্টি, নতুন, সাজু খাদেম, মনিরা আক্তার মিঠু, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, মাহফুজ আহমেদ, সায়মন সাদিক, তারেক সুজাত, মীর সাব্বির, বিজরী বরকত উল্লাহ, মাহিয়া মাহি, ফেরদৌস, রিয়াজ, জ্যোতিকা জ্যোতি, তমা মির্জা, সোহানা সাবা, চন্দন রেজা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, এসডি রুবেল, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরু, মোহাম্মদ আলিমুল্লাহ, সত্যজিৎ দাস রুপু প্রমুখ।
তবে এর বাইরেও অনেকের নাম মামলায় যুক্ত হচ্ছে।
আইনজীবীরা জানান, সরকার পতনের আগে এরা যেমন ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন বানচালের চেষ্টা করেছেন, তেমনি শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরও তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানান উসকানি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে রোকেয়া প্রাচী নিজের মিথ্যা হামলার অভিযোগ এনে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অস্থিরতার চেষ্টা করেন। সেই সাথে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা করেন। এতে রোকেয়া প্রাচীর সাথে যুক্ত ছিলেন অরুণা বিশ্বাসসহ অনেকে।অন্য দিকে পলাতক থাকার পরও হেলিকপ্টারে বন্যার্তদের সহযোগিতার নামে দেশের ভয়ানক পরিস্থিতি নিয়ে নিপুণের বিরুদ্ধে উপহাসের অভিযোগ করেছেন একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, শেখ সেলিমের সাথে বিশেষ সম্পর্কের জের ধরে নিপুণ শিল্পী সমিতিসহ বিভিন্নভাবে অসংখ্য অপকর্ম করেছেন।
মামলায় এসব বিষয়ও যুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় এফডিসিতে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন, বিটিভিতে গিয়ে বিষোদগারের বিষয়গুলোও মামলায় নথিভুক্ত হচ্ছে। গণমাধ্যম ও ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলো দেখেই এসবের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যারা নির্বচনী কার্যক্রমে প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছেন তাদেরও মামলায় আসামি করা হচ্ছে।এর বাইরে গত ৩ আগস্ট এফডিসিতে ‘আমরা সর্বদাই শান্তির পক্ষে’-স্লোগান লেখা ব্যানার হাতে মানববন্ধন হয়।
সেই মানববন্ধনে অন্যান্যের সাথে ছিলেন অরুণা বিশ্বাস। এদিন তিনি সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হতাহতের বিচার না চেয়ে পুলিশ হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন। বলেন, ‘পুলিশ ভাইদের মেরে যারা লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে তাদের বিচার চাই। আমরা ছাত্রদের পক্ষে আছি। কিন্তু কিছু মানুষ আগুনে ঘি ঢালছে এটা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।’