নিজস্ব সংবাদদাতা :
২৬ জুন ২০২০ রাত ১১টায় সাদা পোশাকধারী ৬/৭ জন লোক শফিউল্লাহ আল মুনিরের বাসায় প্রবেশ করেন। বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীরা পরিচয় জানতে চাইলে তারা আইন শৃঙ্খলা বহিনীর পক্ষ থেকে এসেছেন বলে জানান।
এবং তারা মুনিরের পরিবারকে জানান যে- তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হবে। তারপর দিন সকালবেলা থেকে জনাব মুনিরের পরিবাবর বিভিন্ন থানা, হসপিটাল এবং গোয়েন্দা সংস্থায় যোগাযোগ করলে তারা জানান যে- তারা মুনিরকে তুলে আনেননি। উল্লেখ্য, এর কিছুদিন পূর্বেই মুনির গুলশান থানায় ডায়েরী করেন যে- একজন শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি তার ক্ষতি করতে চাচ্ছেন ব্যবসায়ীক কারনে। অনেক খোঁজার পরও মুনিরকে তার পরিবার খুঁজে পাননি। ঠিক ১ মাস অজ্ঞাত জায়গায় রাখার পরে, ২৭-৮-২০২০ তারিখে গুলশান জোনের ডিসি মশিউর রহমান ও এডিসি সাকলাইনের টিমের কাছে আছে বলে মুনিরের বড় ভাই জানতে পারে।
পরবর্তীতে মুনিরকে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়। কোর্টে মুনিরের মাধ্যমে জানা যায়- তার উপর অকথ্য নির্যাতন করা হয় এবং ব্যাংকের চেক ও অফিসিয়াল ডকুমেন্টে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। মুনির যখন জেলে যান তখন তার দুইটি গোডাউনে দেড়শত কোটি টাকার কেমিক্যাল মজুদ ছিলো। এবং সে সময় মুনির ছিলেন চেয়ারম্যান – বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, এশিয়ান হকির ডেভোলপমেন্ট কমিটি, বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন এর ভাইস চেয়ারম্যান। ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ওয়েট লিফটিং ফেডারেশন, চেয়ারম্যান, ঢাকা ভিক্টোরিয়া ক্লাব, ঢাকা মোহামেডান ক্লাবের হকি কমিটির চেয়ারম্যান, ঢাকা ওয়ারী ক্লাবের হকি কমিটির চেয়ারম্যান। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে তার প্রায় ৩ শত ৫০ কোটি টাকার বেশি সিসি ও এলসি লিমিট ছিল।
শফিউল্লাহ আল মুনির বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। যার মধ্যে রয়েছে ইনডেক্স এলপি গ্যাস, ইনেডেক্স এগ্রো লিঃ, ইন্ডেক্স পাওয়ার এন্ড এনার্জি লিঃ, গ্লোবাল এলপিজি লিঃ ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা চলে যায় সালমান এফ রহমানের মালিকানাধিন বেক্সিমকো গ্রুপের হাতে। এরপরে ব্যবসায়িক ভাবে মুনিরের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার জন্য তার নামে সালমান এফ রহমান বিভিন্ন থানায় একেরপর এক চৌদ্দটি (১৪) মিথ্যা মামলা দায়ের করতে শুরু করেন। এবং তার মালিকানাধিন ইনডিপেন্ডেন্ট টিভিতে একেরপর এক মিথ্যা ও ভুয়া নিউজ করা হয় মুনিরকে প্রতারক, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে।
বিগত ২৪-৯-২০২০ তারিখে গুলশান থানায় একটি মামলা দেখানো হয়; মামলা নং- ৩৯/৯/২০। কিন্তু ঘটনার সময় মুনির ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে আটক ছিলেন। পুলিশের এজহারে তার নামও ছিলো না। এমনকি আসামীর তালিকাতেও তার নাম উল্লেখ ছিলোনা। কিন্তু মামলায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত দেখানোর জন্য Shown Arrest এর আবেদন করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তা বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রীর নির্দেশে তাকে মামলায় অন্তর্ভূক্ত করেন ম্যজিস্ট্রেট। পরবর্তীতে এ মামলায় মুনির যখন জামিন পান সেই জামিনের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন বাতিলের জন্য সরকার পক্ষ আবেদন করে। আশ্চর্যজনক বিষয় যে সরকার পক্ষের উকিল আবু আব্দুল্লাহ জামিন বাতিলের আবেদনে উল্লেখ করেন ‘‘মুনির সরাসরি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং তার কাছে মদের বোতল পাওয়া গেছে’’; যা অসত্য ও কাল্পনিক।
কিন্তু, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস সম্পূর্ণ মিথ্যা এ ঘটনার উপর ভিত্তি করে মুনিরের জামিন বাতিলের আদেশ দেন- ‘ঘটনাস্থলে মুনির উপস্থিত ছিলেন এবং তার কাছে মদের বোতল পাবার কারণে জামিন বাতিল করা হলো।’ এরপর যখনই মুনির একটা মামলায় জামিন পেয়েছেন তৎক্ষনাৎ তাকে আরেকটা মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সালমান এফ রহমান এভাবে মুনিরকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে বিপর্যস্ত করেই ক্ষান্ত হননি একই সাথে চলে তার পরিশ্রমে গড়া স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেদখল করার চরম এক নোংরা খেলা। ৫/৪/২০২১ সালে শফিউল্লাহ আল মুনিরের নামে কাফরুল থানায় আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়; মামলা নং- ৬/৯৪।
উক্ত মামলার বাদী জানান আসামী মুনিরকে তিনি চেনেন না এবং তার নামে তিনি মামলাও করেনি। এরপর ১১/০৫/২০২১ তারিখ মিরপুর মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়; মামলা নং ২০(৫)২১। এ মামলায় পুলিশের তদন্তে পাওয়া যায়- বাদী যে ঠিকানা দিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই নামে কোনো বাদীকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবং বাদীর যে নাম ও ঠিকানা প্রদান করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা; বাদীর কোথাও কোনো হদিস না পাওয়ার কারণে পুলিশ এ মামলা থেকে মুনিরকে অব্যাহতি দান করে। পুলিশ জানায় এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই মামলায় জামিন পাওয়ার সাথে সাথে রমনা থানায় আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়; মামলা নং ২৯, তারিখ ২৪/০৪/২০২১।
এই মামলা থেকেও পুলিশ মুনিরকে অব্যহতি প্রদান করেন। এই রমনা থানার মামলায় মুনিরকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় ১৮ এবং ১৯/০৫/২০২১ তারিখে। রিমান্ডের সময় সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে মুনিরকে রমনা থানা থেকে চোখ বেঁধে বের করে রমনা থানার ওসি মনিরুল, নৌ-পুলিশের এসপি আব্দুল্লাহ আরেফ, বেক্সিমকোর সালমান এফ রহমানের সহযোগী জয়ন্ত কুমার রায় ও মুনিরের সাবেক স্ত্রী জাকিয়া তাজিন মুনিরকে নিয়ে অফিস ও বাসায় উপস্থিত হন এবং তারা মুনিরের ব্যক্তিগত নামের ৫টা গাড়ির চাবি, সকল দলিল পত্র, ব্যাংকের চেক বই অকথ্য নির্যাতন করে নিয়ে যান। এই সময় সালমান এফ রহমান মুনিরের সাবেক স্ত্রী জাকিয়া তাজিনকে ভিডিও কলে সরাসরি দিক-নির্দেশনা প্রদান করতে থাকেন। আরেকটি বিষয় উল্লেখ, মুনিরের কাছে জানা যায় যে, যারা মুনিরকে ১মাস গুম করে রেখেছিলেন তাদেরকে সালমান এফ রহমান ও জাকিয়া তাজিন ভিডিও কলে নির্দেশনা প্রদান করতেন। সেসময় মুনির তাদের কণ্ঠস্বর স্পষ্ট শুনতে পান।
এরপর শেরেবাংলা নগর থানায় ২৪/০৩/২০২১ তারিখে আরেকটা মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৪৩ তদন্তকালে পুলিশ জানায় যে ‘বাদীর কোন ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাদী প্রদত্ত সকল তথ্য মিথ্যা।’ এই নামে কোথাও কোনো বাদী না থাকায় উক্ত মামলা থেকেও মুনিরকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। কিন্তু মুনিরের প্রতি নির্যাতনের এমন লোমহর্ষক আয়োজন এখানেই শেষ নয়। এরপর মুনিরকে ফাঁসিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ১৯/০৫/২০২১ তারিখ আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নং ৩৬(৫)২১। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে যে- এই মামলাটিও মিথ্যা। তারপর মামলাটি পূনরায় তদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডির সার্বিক তদন্তের পরে করা চুড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়- ব্যবসায়িক ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মুনিরের নামে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের সবচাইনে নিকৃষ্ট উদাহরন মামলা নং- ৪/২৮৯, গুলশান থানা তারিখ ০৩/১০/২০২১।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয় মুনির ৬জুন ২০২০ তারিখে বাদীকে পিস্তল ধরে মৃত্যুর হুমকি দেন কিন্তু ঘটনার সময় মুনির ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন। এই মিথ্যা মামলায় মুনিরকে সালমান এফ রহমানের সরাসরি নির্দেশনায় গুলশান থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন, গুলশান জোনের এডিসি নাজমুল, এসআই আতিকুর রহমান সম্পূর্ণ প্রমানিত মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে মুনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
এরপর মুনিরের নামে গুলশান থানায় ২০/০৮/২০২১ তারিখ আরেকটি মামলায় তাকে Shown Arrest দেখানো হয়। মামলা নং ২৮, তারিখ ১৭/০৯/২০২০। এই মামলার তদন্তের ভার পরে সিআইডির হাতে। মামলার তদন্তকালে সিআইডি জানান- ‘মুনিরের নামের অন্তর্ভূক্ত অংশটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসামীরা মুনিরকে চিনে না এবং বাদীও মুনিরকে চেনে না। তাই এই মামলা থেকেও মুনিরকে অব্যহতি প্রদান করা হলো।’ একেরপর এক মিথ্যা মামলায় শফিউল্লাহ আল মুনিরকে নির্যাতন ও হয়রানির কারণে তার বড় ভাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে- ‘মিথ্যা এবং ভূয়া পরিচয় দিয়ে মুনিরের নামে মামলা করা হয়েছে যার সবগুলোই ভূয়া।’ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সরাসরি প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ভূয়া নামে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করতে থাকেন।
পুলিশের একজন এসপি আব্দুল্লাহ আবু আরেফ মুনিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা সাজানোতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) আব্দুল বাতেন, গুলশান জোনের তৎকালীন ডিবির ডিসি মশিউর রহমান, গুলশান থানার ওসি আবুল হোসেন, গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল সরাসরি সম্পৃক্ত। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নিম্নোক্ত সুপারিশ করেন- ‘এদের বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) মোতাবেক অসদাচারনের দায়ে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’- এই সময় কালে মুনিরের প্রতিটি কোম্পানীর মালিকানা সালমান এফ রহমানের নামে হয়ে যায় এবং মুনিরের সকল ব্যাংক ফ্যাসিলিটি সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ ব্যবহার করতে থাকে। এমনকি মুনিরের কোম্পানী ইনডেক্স লজিস্টিক্সের মাতুআইলের গোডাউনে রক্ষিত দেড়’শ কোটি টাকার মালামাল সালমান এফ রহমান বিক্রি করে দেন।
আরো উল্লেখ, সেই সময় মুনিরের ইনডেক্স গ্রুপের আওতাধিন ইনডেক্স হোটেল এন্ড রিসোর্টস লিমিটেড এর সাথে বাংলাদেশ বর্ডার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের যৌথ বাস্তবায়নাধীন হিল্টন কক্সবাজার প্রজেক্টটি অর্ধসমাপ্ত থাকা অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়, যার আংশিক ঋণদাতা ছিলো সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড। এই প্রজেক্টে মুনিরের বিশাল অংকের টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। মুনিরের আরেকটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান টেক ইনডেক্স কর্তৃক বাস্তবায়িত ৩০০ফিটে একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক-এর প্রজেক্ট চলমান থাকা অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রজেক্টেও তার প্রায় ১০ কোটি টাকারও অধিক ক্ষতি সাধিত হয়। যেই প্রকল্পটি ব্যাংক কর্তৃক অর্থায়িত ছিলো। মুনিরের বংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কল্যান ট্রাস্টের সাথে আরেকটি যৌথ মালিকানাধীন ডিজিটাল আউটরিচ প্রজেক্টটও অর্ধসমাপ্ত থাকা অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রজেক্টেও মুনিরের বিপুল পরিমান টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়।
এছাড়াও খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় ইনডেক্স ডিস্ট্রিলারিজ কর্তৃক বাংলাদেশে প্রথম বাস্তবায়িত ইথানল ও বায়ো ডিজেল প্রজেক্টটি অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়। এবং প্রকল্পের জন্য আনা বিভিন্ন দামি প্রকৌশলী যন্ত্রপাতি লুট হয় ও নষ্ট হয়। এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য বিদেশী আন্তর্জাতিক পরামর্শকরা প্রকল্প চলমান অবস্থায় নিজ দেশে ফিরে যান। এবং অর্থায়নকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেন। এর ফলে মুনিরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দুইটা সংস্থা ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। এইভাবে বিভিন্ন ব্যাংক, ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ইনডেক্স গ্রুপ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সরাসরি আর্থিক ক্ষতি গ্রস্থ হয়।
সালমান এফ রহমান কর্তৃক দখলকৃত ইনডেক্স গ্রুপের অধিনে যে সকল বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিলো তার আর্থিক ক্ষতির মূল্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। এবং পরবর্তিতে জানা যায় যে, সালমান এফ রহমান ইনডেক্স গ্রুপের দখলকৃত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ গ্রহন করেছেন।