বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
নাম ‘রোবট সুপারভাইজার’। দক্ষিণ কোরিয়ার গামি সিটি কাউন্সিলে সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে কাজ করে রোবটটি। সকাল থেকে টানা কাজ করতে হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত। একদিন দেখা গেল, কাউন্সিল ভবনের এক ও দুতলার মাঝখানে স্তূপের মধ্যে পড়ে আছে রোবটটি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি অকেজো হয়ে গেছে। তবে, রোবটটি ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে দাবি করছেন অনেকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, অনেকেই বলছেন, এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো রোবটের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা ঘটল।
গতকাল (৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রোবটটি অকেজো অবস্থায় পাওয়া যায়। এটি যখন সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায় তখন এক জায়গাতেই ঘুরছিল। এরপর একসময় বন্ধ হয়ে যায়।
এভাবে রোবটটি অকেজো হয়ে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পায়নি কর্তৃপক্ষ। এর কিছু অংশ খুলে নেওয়া হয়েছে পর্যবেক্ষণের জন্য। তবে, অনেকেই বলছেন অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে এটি এভাবে অকেজো হয়ে গেছে।
বেয়ার রোবোটিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই রোবট বানায়। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে এই কাউন্সিল ভবনে কাজ করছে এটি। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা কাজ করে। কাজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সরবরাহ করা ও শহরের বাসিন্দাদের বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া। এর নিজস্ব সিভিল সার্ভিস অফিসার কার্ড রয়েছে। কাজ করে সিটি হলে। লিফটে একতলা থেকে আরেক তলায় যায়। সাধারণত রোবট ওয়েটার বানিয়ে থাকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেয়ার রোবটস। এটি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান। তবে এই রোবট সাধারণত কাজের বাইরেও অনেক কাজ করতো।
এভাবে রোবট অকেজো হয়ে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন ফোরামে এ ঘটনার প্রতিবাদ করছেন অনেকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অতিরিক্ত কাজের কারণেই কি এটি আত্মহত্যা করেছে? রোবটকে দিয়ে সব কাজ করানো নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা।