মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ (কক্সবাজার)
মিয়ানমার জান্তা সরকার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ৩৩০ জন সদস্যদের কে কক্সবাজার ইনানী নৌ জেটিঘাট থেকে কর্ণফুলী এমভি (বিডি) জাহাজ দিয়ে দুই দফায় আলোচনার মাধ্যমে শান্তি পূর্ণভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে এর উপস্থিততে নিজ দেশে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
রাখাইন রাজ্যে গত ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে (বিদ্রোহী বাহিনী ) ও আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের চাপে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ সীমান্তে তুমব্রু, ঘুমধুম, বালুখালী, পালংখালী এবং হোয়াইক্যং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে বাংলাদেশর সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে মিয়ানমার বিজেপির সদস্যরা। নিরাপদ আশ্রয় গ্রহন করছে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬৪, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় ১৫৭ এবং কক্সবাজার সদর হসপিটাল থেকে ০৯ জন মোট ৩৩০ জন সদস্য।
এর মধ্যে রয়েছে বেসামরিক-০৪, সেনা-০২, পরিবার-০৪ জন, ইমিগ্রেশনের ১৮, বিজিপি- ৩০২ জন সদস্য। অদ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ সকাল ৯.১৫ মিনিটে বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সকল প্রকার হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাড়ি যোগে কক্সবাজার ইনানী নৌবাহিনী জেটি ঘাটে আগমন করতঃ পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে স্পিড বোর্ড যোগে সকাল ৯.৫০ মিনিটে ইনানী জেটি ঘাটে আগত পুলিশ কর্নেল Mayo Thura Naung নেতৃত্বে ০৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজিপি প্রতিনিধিদল কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে।
বাছাই পর্ব শেষ করে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে কক্সবাজার ইনানী নৌ জেটিঘাট থেকে কর্ণফুলী এমভি (বিডি) জাহাজ যোগে প্রথম ধাপে ২টায় ১৬৫ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫ জন মোট=৩৩০ জন বিজিপি সদস্যদরকে ইনানী জেটি ঘাটে নেওয়া হয়। মিয়ানমার থেকে আগত জাহাজটি জেটিঘাটে আসতে না-পারায় অপেক্ষামান মিয়ানমার জাহাজটি আনুমানিক দক্ষিণে প্রায় ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে বাংলাদেশ সমুদ্র সীমান্তের অভ্যন্তরে আগত অপেক্ষমান রয়েছে। সেখানে গিয়ে মিয়ানমারের জাহাজে যায়সুষ্ঠুভাবে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ৩৩০ জনকে বিজিপির কাছে শান্তি পূর্ণ ভাবে হস্তান্তরার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ওএসপি, বিএসপি, এস ইউ পি, এনডিসি, পিএসসি এনফিল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত H.E Mr. Auang Kyaw Moe, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা, DDG কোষ্ট গার্ড কমোডর রাশেদ সত্তার( N),NUP,PSC ,BN – কমডোর এস এম শরিফ- উল ইসলাম (N),NPP,PCGMS,psc,BN (সীমান্ত পরিচালক)।
রেজুওয়ান কমান্ডার বিএ ৪২৭২ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোরশেদ আলম। রামু সেক্টর কমান্ডার বিএ ৫৬১৩ কর্নেল মেহেদী হুসাইন কোবির BSP,LSC,SUP,BGBM,psc । জেলা প্রশাসক শাহিন এমরান। ডিজিএফ আই, অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা, সহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।