নিউজ ডেস্ক
বাবার বকুনি, পড়শির চোখ রাঙানি, কটুকথা। এসব উপেক্ষা করে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ফুটবল খেলতে। নারী ফুটবল লীগে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সুযোগ পান জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে।
বৃহস্পতিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৪ গোল করেছেন মোসাম্মৎ সাগরিকা।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ফুটবল খেলি বলে বাবা বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ছিলেন। অনেক দিন কথা বলতেন না। আমি কত বার বাবাকে ফোন করেছি কিন্তু ধরতেন না। গ্রামের লোকও অনেক বাজে কথা বলেছে।
নারী ফুটবল লীগে খেলার সময় যখন ঢাকা আসি এলাকার অনেকে মায়ের কাছে এসে বলতেন, তোমাকে একটা কথা বলতে চাই রাগ করবে না তো।
মা বলতেন, কি কথা? উনারা বলতেন, শুনলাম তোমার মেয়ে নাকি এক ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে গেছে। তখন নারী লীগ চলছিল। ইউটিউবে খেলা দেখাতো। মা ওই ম্যাচের ভিডিও দেখিয়ে বলত, আমার মেয়ে ছেলে নিয়ে পালিয়েছে নাকি অন্য কিছু করছে টাচ ফোনে তোমরা দেখে নিও। এই চ্যানেলে খেলা দেখায়।
সবাই এখন খুশি। শুনেছি গতকাল আমার খেলা দেখার জন্য বাবার চায়ের দোকানে বড় পর্দা টানিয়েছিল তারা। সবাই এখন আমার খেলা দেখে প্রশংসা করে।

















